বিসিএস প্রিলি বার বার ফেলের কারণ - bcs exam fail reasons

Zakir's BCS specials

বিসিএস প্রিলি বার বার ফেলের কারণ ১৯টি
পরীক্ষার প্রথম ধাপে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় অনেককে। সাধারণ কিছু অভ্যাস বা ভুলের কারণে এমনটি ঘটে। নিজেকে গোছিয়ে প্রস্তুত করতে পারলেই ধরা দিবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা । এ বিষয়ে ১৯টি কারণ লিখেছেন— ঊর্মি চৌধুরী

বিঃদ্রঃ  এই নির্দেশনা গুলো আমাদের দ্বারা লেখা হয়নি । যিনি লিখেছেন এবং যেখানে লেখাটি প্রকাশ করেছেন এই দুটি উৎস ওপরে দেওয়া আছে । অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকেন না তাই যুক্তিসঙ্গত এই বিষয়টি আমাদের সাইটে দেওয়া হলো । আমাদের মূল উদ্দেশ্য বেকার ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করা । তাই আপনি বিসিএস পরীক্ষার্থি হয়ে থাকলে এই বিষয়গুলো মেনে চলতে পারেন ।

১) দুনিয়ার হাবিজাবি অনেক কিছু পড়েন কিন্তু সিস্টেমেটিক সিলেবাস ফলো করে কখনো পড়েননি। যা প্রিলি ফেল হওয়ার অন্যতম কারণ।

২) আজ পড়ব কাল পড়ব করতে করতে এক পর্যায়ে প্রিলি পরীক্ষা কখন এসে গেল সেটা টেরও পেলেন না। তখন তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যান। যা প্রিলি পাসের অন্যতম বাধা।
৩) কোথায় থেকে পড়াগুলো শুরু করবেন তা বুঝেননি। সেজন্য এলোমেলো পড়তে থাকেন। আজ গণিত পড়লে কাল বিজ্ঞান পড়েন। এখানে রুটিন সিস্টেম ফলো করেননি।
৪) বই কিনতে কিনতে একপর্যায়ে একটা বইয়ের লাইব্রেরী গড়ে ফেললেন। তবুও বইয়ের পাতা খুলে পড়তে আপনার মন বসেনি।

৫) আড্ডাবাজ, ফেসবুকিং এমনতকি আলসেমি করার কারণে মূল পড়া শেষ করা হয়নি। যার জন্য চরম ধরা খেতে হয়।
৬) অতি পণ্ডিতের কারণে ভাবেন, ধুর! আজ না হলে কাল শেষ করব। এভাবে শেষ করব করব বলে আর শেষ হয়ে কখনো উঠেনি।
৭) কঠিন, কি করব, এতোগুলো পড়া কিভাবে গোছানো যায় তা নিয়ে সবসময় চিন্তা করেন। যার প্রভাব আপনার ব্যক্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে পড়ে।
৮) প্রিলি পরীক্ষা হওয়ার ১৫/১০ দিন আগে পড়াগুলো গুছিয়ে নিতে পারেননি। তখন অন্যপড়া নিয়ে টানাটানি করতে থাকেন।
৯) প্রিলি পাস করবেন নাকি করবেন না তা নিয়ে বেশি টেনশন করেন। সে সাথে নিজেকে বেশি প্রেসার দেন। যার প্রভাব প্রিলিতে পড়ে।
১০) প্রিলি পরীক্ষা হওয়ার ঠিক আগের রাতে টেনশনের কারণে না ঘুমিয়ে পরীক্ষা দিতে যান। এতে হলে গিয়ে খুব মানসিক চাপ নিয়ে পরীক্ষা দেন।
১১) প্রিলিতে কতটুকু বা কত নাম্বার দাগিয়ে আসবেন তা আগে থেকে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেননি। যার কারণে লোভ সামলাতে না পেরে এক নাগাড়ে দাগিয়ে ফেলেন। যার ফলে নেগেটিভ মার্কিং ফাঁদে পড়েন
১২) পরীক্ষার কেন্দ্রে সময়কে প্রাধান্য দেননি। এজন্য আস্তে আস্তে দাগাতে গিয়ে ঘন্টা পড়ার কারণে কখন যে পারা জিনিসগুলোও ভরাট করতে পারেননি তা টের পাননি।

১৩) কনফিউজড প্রশ্ন দাগাতে বেশি করে রিস্ক নেন। যার কারণে নেগেটিভ মার্কিং ফাঁদে পড়েন।
১৪) যে প্রশ্নটি জানেন না সে প্রশ্ন নিয়ে ভরাট করব নাকি করব না তা নিয়ে বেশি সময় অপচয় করেন।
১৫) হলে গিয়ে বেশি এক্সাইটেড হোন যার কারণে জানা প্রশ্নও অজানা হয়ে যায়।
১৬) নির্দিষ্ট নাম্বার (১২০) পর্যন্ত দাগাবো এ মনমানসিকতা আপনার নেই।
১৭) আমার দ্বারা বিসিএস হবে না, বিসিএস খুব কঠিন জিনিস বলে অন্যদের মত ফরম পূরণ করে স্বাভাবিক প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যান।
১৮) আমি মেধাবী না, আমি অমুক না, আমি সমুক না এই বলে নিজেকে প্রাধান্য না দিয়ে পরীক্ষা দিতে যান।

⬛ খুব খারাফ লাগে যখন আপনি আপনার প্রয়োজন মিটিয়ে চুপ করে এই সাইট থেকে চলে যান । কেনো আপনি কি পারতেন না একটি মাত্র শেয়ার করতে, পারতেন না কমেন্ট করে একটা ভালো রিভিউ দিতে, এখানেই তো কাজের অগ্রহ হারিয়ে যায় ।  শুধুমাত্র আপনাদের জন্য এ্যাডমিনেরা এই সাইটে আপনাদের জন্য উপকারে আসে এমন সকল কিছু আপানাদের সাথে শেয়ার করে । আপনি কখন অন্যের উপকারে আসবেন । অনুরোধ করে বলছি এখান থেকে আপনি যদি এতটুকু উপকার পেয়ে থাকেন তবে সেটা শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিয়েন । 

১৯) ধুর, এ বছর এমনিতে নামে করে বিসিএস পরীক্ষা দিব। পরের বছর একদম ফাটিয়ে ফেলব বলে মূল্যবান বছরটাকে নষ্ট করে উড়িয়ে দেন। যা একইভাবে পরের বছরও সেভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটে।
বি.দ্র. এগুলো পালন করতে পারলে প্রিলি নিঃসন্দেহে পাশ করতে পারবেন।


4 Comments

Use Comment Box ! Write your thinking about this post and share with audience.

  1. BCS Preliminary Campaigner

    এত পরিশ্রম করেন, তবু প্রিলিতে ফেইল করার কারণ কিংবা নিজের পরিশ্রম অনুযায়ী ভালো না কর‍তে পারার কারণ কি। আসুন নিচের দুইটা ঘটনা বুঝার চেষ্টা করি।
    ঘটনা এক,
    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে একজন নক দিয়েছিল ৪১তম বিসিএস এর জন্যে। তো কিছু দিন আগে ভাবলাম যেহেতু রেজাল্ট দিবে, একটু জিজ্ঞেস করি কেমন হয়েছে। ওনাকে আমি জিজ্ঞেস করলে বললো যে ভাইয়া আমার ৯০-৯৫ এর ঘরে। শুনে ভালো লাগে নি স্বাভাবিক। কারণ আমি যতটুকু জানি ওনি পরিশ্রমী ও ভালোই পড়াশোনা করেন।
    ওনার সাথে কথা বলার পর যে জিনিস গুলা প্রিলিতে ভালো না করার জন্যে মনে হইছেঃ
    ১. প্রথমেই ভালো প্ল্যান না থাকা, মানে নিজের স্ট্রং আর উইকনেস বুঝে তারপর পড়া শুরু করা।
    ২. বিজ্ঞাপনের মোহে ৩, ৩ টা ডাইজেস্ট পড়া। আমি বুঝিনি এখানে কেনো ৩ টা ডাইজেস্ট পড়তে গেলেন। যে কোন একটা পড়লেই পারতেন। ওনার ভাষ্যমতে পরীক্ষার আগে রিভিশন দিতে পারেন নি। স্বাভাবিকভাবেই কনফিডেন্স কমে যাওয়ার কথা।
    ৩. অমুক বই থেকে এত % কমন, তমুক বই থেকে অত % কমনের লোভে না পরে, বাজারের যে কোন বিষয়ের উপর একটি গাইড পড়ে শেষ করা উচিত। সময় থাকলে সেটাই বারবার পড়া উচিত। অন্য বই কিনে নিজেকে অযথাই পণ্ডশ্রমে ফেলবেন না।
    ঘটনা দুই,
    আমার বন্ধু কঠিন পড়াশোনা করেছে। তবু তার নাম্বার রেঞ্জ ৯০-৯৫ এর ঘরে। সম্ভবত এবার অনেক পরিশ্রমীদের এই রেঞ্জে পাওয়া যাবে এবার।
    ওনি সারা রাত জেগে পড়েন। তো এক্সামের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে বললাম বন্ধু রাত জাগা বাদ দে। নাহলে এক্সামের আগে ঘুমাতে পারবি না। কিন্তু বন্ধু ওনার খেয়াল খুশি মতো চললেন। ফলাফল এক্সামের আগের রাতে পরীক্ষার টেনশনে ঘুমাতে পারেন নি। ফলাফল ব্রেইন পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় এক্সাম হলে অনেক পারা উত্তরও কনফিউশান লাগিয়ে অনেক নেভেটিভ মার্কিং উপহার দিয়েছে।
    এবার নাকি বন্ধু রাত জাগবে না।
    আসলে আমাদের শুধু পড়লেই হবে না, ভালো প্ল্যান ও কৌশল রপ্ত করতে হবে।

    ReplyDelete
  2. BCS Preliminary Campaigner

    এত পরিশ্রম করেন, তবু প্রিলিতে ফেইল করার কারণ কিংবা নিজের পরিশ্রম অনুযায়ী ভালো না কর‍তে পারার কারণ কি। আসুন নিচের দুইটা ঘটনা বুঝার চেষ্টা করি।
    ঘটনা এক,
    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে একজন নক দিয়েছিল ৪১তম বিসিএস এর জন্যে। তো কিছু দিন আগে ভাবলাম যেহেতু রেজাল্ট দিবে, একটু জিজ্ঞেস করি কেমন হয়েছে। ওনাকে আমি জিজ্ঞেস করলে বললো যে ভাইয়া আমার ৯০-৯৫ এর ঘরে। শুনে ভালো লাগে নি স্বাভাবিক। কারণ আমি যতটুকু জানি ওনি পরিশ্রমী ও ভালোই পড়াশোনা করেন।
    ওনার সাথে কথা বলার পর যে জিনিস গুলা প্রিলিতে ভালো না করার জন্যে মনে হইছেঃ
    ১. প্রথমেই ভালো প্ল্যান না থাকা, মানে নিজের স্ট্রং আর উইকনেস বুঝে তারপর পড়া শুরু করা।
    ২. বিজ্ঞাপনের মোহে ৩, ৩ টা ডাইজেস্ট পড়া। আমি বুঝিনি এখানে কেনো ৩ টা ডাইজেস্ট পড়তে গেলেন। যে কোন একটা পড়লেই পারতেন। ওনার ভাষ্যমতে পরীক্ষার আগে রিভিশন দিতে পারেন নি। স্বাভাবিকভাবেই কনফিডেন্স কমে যাওয়ার কথা।
    ৩. অমুক বই থেকে এত % কমন, তমুক বই থেকে অত % কমনের লোভে না পরে, বাজারের যে কোন বিষয়ের উপর একটি গাইড পড়ে শেষ করা উচিত। সময় থাকলে সেটাই বারবার পড়া উচিত। অন্য বই কিনে নিজেকে অযথাই পণ্ডশ্রমে ফেলবেন না।
    ঘটনা দুই,
    আমার বন্ধু কঠিন পড়াশোনা করেছে। তবু তার নাম্বার রেঞ্জ ৯০-৯৫ এর ঘরে। সম্ভবত এবার অনেক পরিশ্রমীদের এই রেঞ্জে পাওয়া যাবে এবার।
    ওনি সারা রাত জেগে পড়েন। তো এক্সামের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে বললাম বন্ধু রাত জাগা বাদ দে। নাহলে এক্সামের আগে ঘুমাতে পারবি না। কিন্তু বন্ধু ওনার খেয়াল খুশি মতো চললেন। ফলাফল এক্সামের আগের রাতে পরীক্ষার টেনশনে ঘুমাতে পারেন নি। ফলাফল ব্রেইন পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় এক্সাম হলে অনেক পারা উত্তরও কনফিউশান লাগিয়ে অনেক নেভেটিভ মার্কিং উপহার দিয়েছে।
    এবার নাকি বন্ধু রাত জাগবে না।
    আসলে আমাদের শুধু পড়লেই হবে না, ভালো প্ল্যান ও কৌশল রপ্ত করতে হবে।

    ReplyDelete
ads-for-post
Previous Post Next Post

Fashion & Beauty